নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করা বিদয়াত এটি যাদের বিশ্বাস তারা কুফরীতে নিমজ্জিত


নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করা বিদয়াত 

এটি যাদের বিশ্বাস তারা কুফরীতে নিমজ্জিত

 

কুরআন শরীফ-এর ‘সূরা মু’মিন’-এর ৬০ নম্বর আয়াত শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা আমার নিকট দোয়া বা মুনাজাত করো, আমি তোমাদের দোয়া বা মুনাজাত কবুল করবো।” বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক মুফতী, মুহাদ্দিছ, মুফাসসির, শায়খুল হাদীছ, শায়খুত তাফসীর, খতীব নামধারী আলিম তথা উলামায়ে ‘ছূ’ রয়েছে যারা প্রায়শই বলে থাকে- “মুনাজাত নামাযের অংশ নয় তাই নামায শেষে মুনাজাত করার বাধ্যবাধকতা নেই।” এমনকি তারা নামাযের পর হাত তুলে মুনাজাত করাকে বিদয়াত বলে থাকে। এরকম বদ আক্বীদাভুক্ত দুনিয়াদার আলিমদের আমলে যথেষ্ট ত্রুটি রয়েছে এবং তারা জেনে শুনে কুফরী করে থাকে। আমভাবে আমরা সবাই জানি যে, কর্মচারী যদি মনিবের কাছে কোনো কিছুর আবদার করে তাহলে মনিব তা পূরণ করতেও পারেন নাও করতে পারেন। কিন্তু আল্লাহ পাক তিনি তো রব্বুল আলামীন, মহান দয়ালু উনার কাছে যদি কোনো বান্দা নামাযের পর মুনাজাত করে কোনো কিছুর জন্য প্রার্থনা করেন তাহলে তিনি তা নিশ্চিতভাবে পূরণ করেন। কাজেই তাদের এই আক্বীদা যে কুফরীর অন্তর্ভুক্ত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।লিখেছেন: মাহাতাব 

http://www.sabujbanglablog.net 


অত্র ব্লগারের মন্তব্য: 
নামোজের পর সম্মিলিত মোনাজাত মোস্তাহাব আমল (করতে পারলে ভালো, না করলে গুনাহ নাই ) । এই লিংকে দেখুন: নামাজের পর সম্মিলিত দোয়া একটি দলীলভিত্তিক বিশ্লেষণ দ্বীন ইসলামের ছোট-বড় কোন আমলকেই অস্বীকার (কুফর), বিরোধিতা, অধিকন্তু বিরোধী প্রচারণা করার অধিকার কোন বান্দার নাই। এই মোস্তাহাব আমলকে বিরোধিতা করা বা বিদয়াত বলা কুফরীর গুনাহ যা শিরক থেকে মারাত্বক। কুফরীর বিরোধিতা করা বা এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা ঈমানের দাবী। 


Post a Comment

1 Comments